আদর্শ মা-নানিরা বিয়ের – আদরের নন্দিনী মেয়েকে চিরতরে একজনের কাছে তুলে দিতে একজন মায়ের কী কষ্ট লাগে, মমতাময়ী জননীর তখন কী আবেগের ঢেউ খেলে যায়, তার চোখে তখন কত আনন্দ-বেদনার ভাবনা ভীড় করে তা একমাত্র ওই মা জননীই জানেন। কিন্তু শুধু চোখের পানি ফেলে কলিজার টুকরা মেয়েকে শুধু বিদায় জানানোই নয়, তখন যদি তাকে এমন কিছু উপদেশ শুনিয়ে দেয়া যায় যা তার সারা জীবনের সম্বল হবে।
আগামীর দিনগুলোকে উজ্জ্বল সুখময় করবে তবে তা বড্ড ভালো হয়। সে থেকেই নিচের এই অমূল্য রত্নতুল্য উপদেশগুলো ভাষান্তর করে তুলে ধরা হলো। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি বোনের এবং মেয়ের জীবনকে করুন বর্ণিল ও সুখময়।বিয়ের রাতে কন্যাকে যা শিখিয়ে দেন আদর্শ মা-নানিরা।
তুমি তোমার বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছো। যেখানে তুমি জন্মেছিলে। যে বাসস্থানে তুমি প্রতিপালিত হয়েছো। যাচ্ছো এমন পরিবেশে যার সঙ্গে তুমি মোটেও পরিচিত নও। মিলিত হবে এমন সঙ্গীদের সঙ্গে যাদের তুমি চেনো না।অতএব তুমি তার দাসী হয়ে যাও। সে তোমার দাস হয়ে যাবে। আর তার জন্য তুমি ১০টি বৈশিষ্ট্য ধারণ করো, তবে সে তোমার জন্য সঞ্চিত ধন হয়ে যাবে।
প্রথম ও দ্বিতীয়টি হলো : স্বামীর সঙ্গে থাকবে অল্পে তুষ্টির। জীবনযাপন করবে আনুগত্য ও মান্যতার ভেতর দিয়ে।
তৃতীয় ও চতুর্থটি হলো: স্বামীর নজরে পড়ার জায়গাগুলো দেখাশোনা করবে। তার নাকে লাগার স্থানগুলো খুঁজে ফিরবে। তার দুই চোখ যেন তোমার কুৎসিত কিছুর প্রতি পতিত না হয়। আর সুবাস ছাড়া তোমার কাছে যেন কোনো গন্ধ না পায়। সুপ্রসিদ্ধ সুন্দরের সর্বোত্তম হলো চোখের সুরমা। আর পবিত্র সুবাসগুলোর আদি ও সেরা হলো সাবান ও পানি।
পঞ্চম ও ষষ্ঠটি হলো: স্বামীকে খাওয়াবার সুযোগ তালাশ করবে। তার নিদ্রার সময় নিরব থাকবে। কারণ, ক্ষুধার তাপ মানুষকে তাতিয়ে দেয়। আর ঘুম থেকে কেঁপে ওঠা তাকে ক্ষেপিয়ে দেয়।
সপ্তম ও অষ্টম হলো: স্বামীর বাসা ও সম্পদের যত্ন নেবে। তার ও তার পরিবারের প্রতি লক্ষ্য রাখবে।
নবম ও দশম হলো: তার কোনো নির্দেশ অমান্য করবে না। তার কোনো দোষ খুঁজে বের করবে না। কারণ, তুমি তার নির্দেশের অবাধ্য হলে অর্থ তার মনটাকে চটিয়ে দিলে। যদি তার কোনো দোষ প্রকাশ করলে তো তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় অনিরাপদ হয়ে গেলে।
এরপর আরো মনে রাখবে, তার বিষণ্নতার সময় আনন্দ প্রকাশ করবে না। আবার তার আনন্দের সময় বিষণ্নতা প্রকাশ করবে না। কারণ, প্রথমটি তার কাছে অবহেলা মনে হবে এবং দ্বিতীয়টি তাকে বিরক্ত করবে। তাকে সবচে মর্যাদা তুমি তখনই দেবে যখন তাকে সবচে বেশি সম্মান করবে।
আর এ অবস্থায় তুমি সে পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না যাবৎ না তোমার পছন্দ বা অপছন্দের বিষয়ে তার সন্তুষ্টিকে তোমার সন্তুষ্টির ওপর এবং তার চাওয়াকে তোমার চাওয়ার ওপর অগ্রাধিকার না দাও। অবশেষে প্রার্থনা, আল্লাহ তোমার সার্বিক কল্যাণ করুন। তোমাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করুন।